করোলা খাওয়ার উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা এবং চাষাবাদের নিয়মাবলী
- Get link
- X
- Other Apps
করোলা খাওয়ার উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা এবং চাষাবাদের নিয়মাবলী
- -ভূমিকা
- -করলার উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা
- -হাইব্রিড জাতের করোলা চাষ
- -যেভাবে করলা চাষে অধিক ফলন পাওয়া যায়
- -করলা চাষের সঠিক পদ্ধতি ও নিয়মাবলী
- -উপসংহার
ভূমিকা
করলা আমাদের সবার প্রিয় একটি খাবার। যদিও করলার বাণিজ্যিক চাষ হচ্ছে, আমরা নিজেদের বাড়ির আনাচে-কানাচে বা ফাঁকা জায়গায়ও করলা চাষ করি। বর্তমানে করলা চাষ করে কৃষকরা ভালো লাভ পাচ্ছেন, কারণ বাজারে এর মূল্য বেশি এবং গ্রামে চাহিদা মেটাতে করলা শহরে বাজারজাত করা হচ্ছে। এর ফলে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন, তাই তারা করলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
করলার উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা
**ওজন কমাতে সহায়ক:** শরীরের ওজন কমাতে করলার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত করলা খেলে শরীরের ওজন কমে যেতে বাধ্য। যদিও এটি তেতো, তবুও করলায় লো ক্যালোরি রয়েছে, যা শরীরে ফ্যাট তৈরি হতে বাধা দেয় এবং ওজন বাড়তে দেয় না।
**হজমে সহায়তা:** করলাতে থাকা প্রচুর ফাইবার শরীরের হজম শক্তি বাড়ায় এবং খাবার হজমে সহায়তা করে। নিয়মিত করলা খেলে পেট পরিষ্কার থাকে এবং এসিডিটির সম্ভাবনা কমে যায়।
**ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য:** ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য করলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য করলা একটি প্রধান খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা তাদের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
**ত্বকের জন্য:** করলাতে থাকা মিনারেল ত্বকের জন্য খুবই কার্যকরী, যা ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে এবং বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। অনেকেই করলার জুস খেতে পারেন অথবা করলাকে ব্লেন্ড করে ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন, যা ত্বকের দাগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।
হাইব্রিড জাতের করোলা চাষ
যেভাবে করলা চাষে অধিক ফলন পাওয়া যায়
সঠিক নিয়ম মেনে করলা চাষ করলে অবশ্যই ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। করলা চাষের জন্য প্রথমে একটি ভালো জমি নির্বাচন করতে হবে। করলার অধিক ফলন পাওয়ার জন্য ভালো বীজ সংগ্রহ করা অপরিহার্য, কারণ ভালো বীজই ভালো ফসল নিশ্চিত করে।
করলা চাষের সঠিক পদ্ধতি ও নিয়মাবলী
করলা চাষ দুই পদ্ধতিতে করা যায়: প্রথমত, সরাসরি মাটিতে বীজ রোপণ করে উৎপাদন করা যায়। দ্বিতীয়ত, জমির উপরে দুই থেকে তিন ফিট উঁচু করে মাচা তৈরি করে করলা চাষ করা হয়। আমরা মাচায় করলা চাষকেই সঠিক পদ্ধতি হিসেবে মনে করি, কারণ এতে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং উৎপাদনও ভালো হয়।
**জমিতে করলা চাষের পদ্ধতি:**
প্রথমত, জমিটি ভালো নির্বাচন করতে হবে। এরপর চাষাবাদ করার পরে সেখানে তিন থেকে পাঁচ ফিট পর পর সারিবদ্ধভাবে ড্রেন তৈরি করতে হবে। ড্রেনের মাটি উপরে রেখে সমান করতে হবে, যা পানি নিষ্কাশনের জন্য বা প্রয়োজনীয় পানি রাখার ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে। এরপরে করলার বীজ রোপণ করতে হবে। বীজ রোপণের কিছুদিন পর চারা গাছ উৎপন্ন হয় এবং এই গাছগুলো মাটিতে বেড়ে ওঠে।
বর্তমানে বেশিরভাগ কৃষক জমিতে মাচা করে করলা রোপণ করছেন, কারণ এই পদ্ধতিতে উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং রোগ বালাইয়ের সম্ভাবনা কম থাকে। তাছাড়া, কৃষকদের পরিচর্যাও তেমন বেশি করতে হয় না। সুতরাং, সুবিধার কারণে জমির উপরে মাচা তৈরি করে করলা চাষের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।
উপসংহার
যদিও আমাদের সকলের প্রিয় খাবার নয় তবে এটি সকলেরই খাওয়া উচিত। কারণ করলাতে রয়েছে শরীরের জন্য ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে নিয়মিত করলা খাওয়ার বিশেষ গুণ রয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে করলা চাষ না করলেও পারিবারিক চাহিদা মেটানোর জন্য আমরা বাড়ির আনাচে-কানাচে করলার চাষ করতে পারি।
এতে আমাদের পারিবারিক চাহিদা পূরণ
করতে পারি। এবং এই করলা চাষে তেমন
কোন খরচ নেই। উপরোক্ত বিষয় হতে
আমরা জেনেছি কিভাবে করলা চাষ
করতে হয় এবং করলা চাষের
প্রয়োজনীয়তা উপকারিতা বিভিন্ন
বিষয়ে আমরা জেনেছি। তাই
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বলা
যায় নিয়মিত যদি কোন ব্যক্তি
করলা খেয়ে থাকেন তাহলে তার
বিভিন্ন রোগ হতে মুক্তি থাকার
সম্ভাবনা রয়েছে
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment