প্রতিবন্ধী শিশু কাকে বলে- What is a disabled child?

Image
   প্রতিবন্ধী শিশু কাকে বলে- What is a disabled child? আমাদের চারপাশে কিছু শিশু থাকে যারা অন্যান্য সাধারণ শিশুদের মতো নয়। তাদের শারীরিক গঠন আলাদা, এবং তাদের আচরণও স্বাভাবিকের তুলনায় ধীর বা সমস্যাযুক্ত। কিছু শিশুর চোখে ভালোভাবে দেখা যায় না, কারো হাঁটাচলায় সমস্যা থাকে, কারো মনে বা বোঝার ক্ষমতায় কিছু দেরি হয়, আবার কিছু শিশু বয়সের তুলনায় শিশুদের মতো আচরণ করে। এসব শিশু নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার শিকার। এরা প্রতিবন্ধী শিশু। এগুলোকে "বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু" বলা হয়, কারণ তাদের পূর্ণ বিকাশের জন্য বিশেষ যত্ন এবং প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। এসব শিশুদের জীবনযাত্রার উন্নতি ও সহায়তার জন্য আমাদের সবার মধ্যে তাদের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণে ৩রা ডিসেম্বর বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস হিসেবে পালিত হয়। পোষ্ট সূচিপত্র:প্রতিবন্ধী শিশু কাকে বলে- What is a disabled child? ভূমিকা শারীরিক প্রতিবন্ধী কাকে বলে-What is physically...

সুস্থ দেহ ও জীবন যাপনে শারীরিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা

 

 সুস্থ দেহ ও জীবন যাপনে শারীরিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা

এটি মানসিক বিকাশ এবং সামাজিক গুণাবলী অর্জনে সহায়তা করে। শরীর ভালো না থাকলে মন ভালো থাকে না, কাজেও মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়। তাই দেহ ও মনের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।





"সুস্থ দেহে সুন্দর মন"—এই প্রাচীন প্রবাদটি সব যুগেই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমানে শারীরিক উন্নয়ন, মানসিক বিকাশ এবং সামাজিক গুণাবলী অর্জনই শারীরিক শিক্ষার মূল লক্ষ্য। নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে শারীরিক শিক্ষা কর্মসূচি সুস্থ জীবনধারার পথ দেখায়। একজন শিক্ষার্থী শারীরিক শিক্ষার মাধ্যমে সুস্থ দেহে সুন্দর মন গঠন করে সমাজে একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।

পোস্ট সূচিপত্র:সুস্থ দেহ ও জীবন যাপনে শারীরিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা

  • ভূমিকা
  • শারীরিক শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য-Aims and objectives of physical education
  • শারীরিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা-The need for physical education
  • শারীরিক শিক্ষার কর্মসূচি-Physical education program
  • বাংলাদেশের শারীরিক শিক্ষা-Physical education in Bangladesh
  • উপসংহার

ভূমিকা

শারীরিক শিক্ষার বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রথমে শিক্ষার ধারণা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। শারীরিক শিক্ষা শিক্ষার অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং এটি ছাড়া শিক্ষা পূর্ণতা পায় না। শিক্ষা শব্দটির ব্যাখ্যা করলে শারীরিক শিক্ষার প্রকৃতি বোঝা সহজ হয়। শিক্ষা সম্পর্কে বিভিন্ন পণ্ডিত ব্যক্তি নানাভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, যা বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে প্রযোজ্য। শিক্ষা শুধু বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ নয়, এটি ব্যক্তির শারীরিক, সামাজিক, আবেগিক এবং অন্যান্য দিকের সুষম বিকাশ সাধন করে। শিক্ষা ব্যক্তির জীবনের কোন নির্দিষ্ট সময়ে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি জীবনের পুরো সময়জুড়ে বিস্তৃত। শিক্ষা শুধু বিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি পরিবার, সমাজ, খেলার মাঠ এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই অর্জিত হয়।

শারীরিক শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য-Aims and objectives of physical education

সাধারণভাবে আমরা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের মধ্যে পার্থক্য করি না এবং অনেক সময় একটির পরিবর্তে অন্যটি ব্যবহার করি। কিন্তু এই দুই ধারণা একে অপরের সমার্থক নয়; এদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। লক্ষ্য হল চূড়ান্ত গন্তব্যস্থল, আর উদ্দেশ্য হল সেই গন্তব্যে পৌঁছানোর নির্দিষ্ট ও ছোট পদক্ষেপসমূহ। যেমন সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠার ক্ষেত্রে, লক্ষ্য হলো ছাদে পৌঁছানো, আর সিঁড়ির প্রতিটি ধাপ হলো উদ্দেশ্য। লক্ষ্য মানুষের কল্পনায় থাকে এবং সরাসরি বাস্তবে রূপায়িত হয় না, কিন্তু উদ্দেশ্য বাস্তব এবং সেটি অর্জন করা সম্ভব, এমনকি তা পরিমাপযোগ্য। শারীরিক শিক্ষাবিদরা শারীরিক শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন অন্তর্বর্তী 
বুক ওয়াল্টারের মতে, শারীরিক শিক্ষার লক্ষ্য হলো শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক দিকগুলির সমন্বিত বিকাশ। এই বিকাশের উপায় হলো স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা এবং নিয়ম-নীতি অনুসারে পরিচালিত খেলাধুলা, ছন্দময় ব্যায়াম এবং জিমন্যাস্টিক ইত্যাদি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা। এগুলোই শারীরিক শিক্ষার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে কিছু উদ্দেশ্য নিয়ে মতৈক্য থাকলেও, কিছু ক্ষেত্রে মতভেদ রয়েছে। উদ্দেশ্যকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে:

1. **শারীরিক সুস্থতা অর্জন**: খেলাধুলার নিয়ম মেনে ভালোভাবে খেলার দক্ষতা অর্জন, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো, স্নায়ু ও মাংসপেশীর সমন্বয় সাধন করে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দেহ ও মনের সুষম উন্নয়ন।

2. **মানসিক বিকাশ**: চিন্তাশক্তির উন্নতি, নৈতিকতার জ্ঞান অর্জন, সেবা ও আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হওয়া, বিভিন্ন দলের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে তোলা।



3. **চারিত্রিক গুণাবলী অর্জন**: অনুগত্যবোধ ও নৈতিকতা বৃদ্ধি, খেলাধুলার মাধ্যমে আইন মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তোলা, খেলোয়াড়ী ও বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব তৈরি, প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মনোভাব গড়ে তোলা এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা অর্জন।

4. **সামাজিক গুণাবলী অর্জন**: নেতৃত্বের দক্ষতা এবং সামাজিক গুণাবলী অর্জন, বিনোদনের মাধ্যমে অবসর সময় কাটানোর উপায় জানা, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন এবং সেবামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা।

শারীরিক শিক্ষাবিদদের মতামত থেকে এটি স্পষ্ট হয় যে শারীরিক শিক্ষার উদ্দেশ্য, সাধারণ শিক্ষার মতোই, ব্যক্তিসত্তার সর্বোচ্চ ও সুষম বিকাশ সাধন করা। এছাড়াও, এটি পরিকল্পিতভাবে খেলাধুলায় পারদর্শিতা অর্জনে সহায়তা করে।

শারীরিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা-The need for physical education

শারীরিক শিক্ষা দেহ ও মনের সমন্বিত উন্নয়ন সাধন করে এবং শিক্ষার পূর্ণতা আনে। শারীরিক শিক্ষা ছাড়া, শিক্ষার অভাব থেকে যায়। যেসব গুণাবলী একজন নাগরিককে সুস্থ, সবল, দায়িত্বশীল এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম করে তোলে, শারীরিক শিক্ষা সেই গুণাবলী অর্জনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। মানুষ সমাজে স্বীকৃতি পেতে চায়, এবং এই স্বীকৃতির মাধ্যমেই তার ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে। তাই নেতৃত্বের বিকাশ ও ব্যক্তিত্ব গঠনে শারীরিক শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। আমাদের দেহ বিভিন্ন অঙ্গের সমন্বয়ে গঠিত, যা মাংসপেশী, হাড়, শিরা এবং ধমনীসহ অন্যান্য উপাদানে গঠিত।
দেহকে সুস্থ রাখতে, শরীরে সবসময় কিছু প্রক্রিয়া কাজ করে, এবং এই প্রক্রিয়াগুলির সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য শারীরিক সুস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপযুক্ত খাবার, অঙ্গ সঞ্চালন, বিশ্রাম এবং পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীর সঠিকভাবে বৃদ্ধি পায় না এবং সুস্থ থাকে না। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা দৈহিক ও মানসিক বিকাশের ওপর সমান গুরুত্ব দেয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান, যা সমাজ সংরক্ষণ, সংস্কার এবং ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তনের কাজে সমাজ ও দেশের প্রতি দায়বদ্ধ। দেশের মানবসম্পদকে সঠিকভাবে বিকশিত করা এবং আজকের শিশুকে আগামী দিনের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্বও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে।

এই ক্ষেত্রে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজ মূলত দ্বিমুখী। প্রথমত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কাজ হলো শিশু শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত বিকাশ সাধন করা, যা তার শারীরিক, মানসিক এবং আত্মিক দিকগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে। দ্বিতীয়ত, শিক্ষার্থীর জৈবিক সত্তাকে সামাজিক সত্তায় রূপান্তরিত করা, যার মধ্যে শিশুর চারিত্রিক ও মূল্যবোধের উন্নতি এবং সামাজিক বিকাশ অন্তর্ভুক্ত।

শারীরিক শিক্ষার কর্মসূচি-Physical education program

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে সকল খেলাধুলা, ব্যায়াম, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এবং বিনোদনমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়, সেগুলোকেই শারীরিক শিক্ষার কর্মসূচি বলা হয়। একজন শারীরিক শিক্ষক যে সব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেন, সেগুলোই শারীরিক শিক্ষার কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত। শারীরিক শিক্ষার কর্মসূচিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়:

1. **অত্যাবশ্যকীয় ক্রিয়া কর্মসূচি (Compulsory Sports Programme)**: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সরকারি নির্দেশনাবলী, শারীরিক শিক্ষার ক্লাস, প্রতিযোগিতা, প্রত্যাহিক সমাবেশ এবং স্থানীয় নির্দেশনা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই কার্যক্রমগুলো একজন শারীরিক শিক্ষকের জন্য বাধ্যতামূলক। সরকারি নির্দেশনাবলী বলতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শারীরিক শিক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশনা যেমন: প্রত্যাহিক সমাবেশ পরিচালনা, প্রতিদিন বা সপ্তাহে নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্লাস নেওয়া, আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ, জাতীয় দিবসে খেলাধুলার আয়োজন ইত্যাদি বোঝায়। স্থানীয় নির্দেশনা বলতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিয়মকানুনকে বুঝানো হয়।



**অন্তঃ ক্রিয়াসূচি (Intramural Sports)**: "ইন্ট্রামুরাল" একটি ল্যাটিন শব্দ, যেখানে "Intra" অর্থ ভিতরে এবং "Mural" অর্থ দেয়াল। অর্থাৎ, "ইন্ট্রামুরাল স্পোর্টস" বলতে প্রতিষ্ঠানের চার দেয়ালের ভেতরে বা নিজেদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া খেলাধুলার প্রতিযোগিতাগুলোকে বোঝায়। যেমন বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, নবম শ্রেণী বনাম দশম শ্রেণীর ক্রিকেট ম্যাচ, বা ষষ্ঠ শ্রেণীর ক শাখার মধ্যে প্রতিযোগিতা। যদি প্রতিষ্ঠানে হাউজ সিস্টেম থাকে, তাহলে হাউজের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতাগুলোও এর অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছাত্র-শিক্ষক বা বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে, যেমন প্রথম বর্ষ বনাম দ্বিতীয় বর্ষের প্রতিযোগিতাগুলোও ইন্ট্রামুরাল স্পোর্টসের অংশ।

**আন্তঃ ক্রিয়াসূচি (Extramural Sports)**: "এক্সট্রামুরাল" শব্দটি ল্যাটিন "Extra" (বাইরে) এবং "Mural" (দেওয়াল) থেকে উদ্ভূত। এর মানে হলো, দেওয়ালের বাইরে অনুষ্ঠিত যে সকল খেলাধুলা হয়, তাকে আন্তঃ ক্রিয়াসূচি বলা হয়। এই খেলাধুলা বা প্রতিযোগিতাগুলো এক স্কুল থেকে অন্য স্কুল, এক কলেজ থেকে অন্য কলেজ বা এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, আন্তঃস্কুল, আন্তঃকলেজ, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়, বা আন্তঃক্লাব প্রতিযোগিতা অন্তর্ভুক্ত।

বাংলাদেশের শারীরিক শিক্ষা-Physical education in Bangladesh

সাধারণ শিক্ষার সাথে শারীরিক শিক্ষা গভীরভাবে সংযুক্ত। শিক্ষার পূর্ণতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে শারীরিক শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। ইউরোপের পুনর্জাগরণের সময়েও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারীরিক শিক্ষা আলাদা কিছু ছিল না; এটি সামরিক শক্তির অংশ হিসেবে বিবেচিত হতো। রাষ্ট্রের নাগরিকদের বৃহত্তর কল্যাণের জন্য শিক্ষা ক্ষেত্রে মূল্যবান সংস্কার সাধিত হয়েছিল। 

প্রশাসনিকভাবে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সার্বিক শিক্ষার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে। এর অধীনে ক্রিয়া অধিদপ্তর দেশের ছয়টি সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের প্রশাসনিক এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক কর্মসূচির তদারকি করে। এসব কলেজ থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকরা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারীরিক শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন এবং শারীরিক শিক্ষা কর্মসূচি ও খেলাধুলার প্রতিযোগিতার বাস্তবায়ন করেন।

 এছাড়াও, তাদের ব্যবস্থাপনায় স্কুল পর্যায়ের শারীরিক শিক্ষা শিক্ষকদের জন্য নিয়মিত রিফ্রেশার্স কোর্স অনুষ্ঠিত হয়। বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্কুল পর্যায়ে শারীরিক শিক্ষা কর্মসূচির কার্যকারিতা ও গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের সামাজিক ও জাতীয় জীবনে শারীরিক শিক্ষার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে মুল্য কর্মসূচি বাস্তবায়নের আশু সুফল দৃশ্যমান হবে বলে আশা করা যায়।

উপসংহার

উপরোক্ত বিষয় হতে আমরা শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে নানাবিধ জ্ঞান অর্জন করেছি। এবং শারীরিক শিক্ষা কাকে বলে এর প্রকারভেদ বিষয়ে আমরা জেনেছি। আমাদের সুস্থ জীবন যাপনের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। শারীরিক শিক্ষার ফলে দেহ ও মন সুস্থ সবল থাকে কেননা সুস্থ দেহই সুস্থ মনের অংশীদার। আমাদের দেশে বিভিন্ন স্কুল কলেজ এ শারীরিক শিক্ষার যে ব্যবস্থাগুলো তৈরি হয়েছে এগুলো আমাদের সমাজ এবং ব্যক্তিগত উন্নতি সাধনে ভূমিকা রাখছে।


    Comments

    Popular posts from this blog

    কমলা গাছের যত্ন এবং পরিচর্যার পদ্ধতি

    ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায় - অনলাইনে থেকে কিভাবে ইনকাম করার উপায় ২০২৪

    অনলাইনে টাকা ইনকাম করার কিছু সহজ উপায়